• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:১২ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার  অভয়নগরে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ অভয়নগরে সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহের উদ্বোধন অভয়নগরে মেধা অন্বেষন ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে দুদক কর্তৃক সততা স্টোরের অর্থ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ আশুলিয়া টু চান্দুরা চৌরাস্তা যানজটের দুর্ভোগ,,,  অভয়নগরে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সংবর্ধনা যশোর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)অভিযান চালিয়ে ৪ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার সহ আটক -১ অভয়নগরে পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজ শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি অর্জনে আনন্দ শোভাযাত্রা নড়াইলের ইউপি চেয়ারম্যান  মোস্তফা কামাল’কে গুলি করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক -৪ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার আশুলিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মামুনুল হক যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ খেলা হচ্ছে না তাসকিনের, বিকল্প ভাবনায় হাসান দুই সিনেমা নিয়ে ফিরছেন আফরান নিশো

করোনা আক্রান্তঃ ফরিদপুরের তিন জন কোয়ারেন্টাইনে

করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ফরিদপুরের তিন জনকে পারিবারিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা তিনজনই সম্প্রতি ইতালি থেকে ফিরেছেন।

ফরিদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, পরিস্থিতির অবনতি হলে ফরিদপুরে সরকারি উদ্যোগে পৃথক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হবে।

ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, গত ২ মার্চ শহরের ঝিলটুলীর বাসিন্দা তিন সহোদর ভাই ইতালি থেকে দেশে রওনা হন। ৩ মার্চ তারা দেশে ফিরেন। গত সোমবার রাতে বিষয়টি তারা জানতে পারেন। পরেরদিন মঙ্গলবার থেকে তারা তাদের নিজেদের উদ্যোগেই বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা নেন বলে ডা. সিদ্দিকুর রহমান জানান।

সিভিল সার্জন জানান, ওই তিনজনের পরিবার থেকে তাদের উদ্যোগেই স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। কিংবা তাদের মাঝে করোনাভাইরাসের লক্ষণও পাওয়া যায়নি। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সতর্কতামূলক পর্যবেক্ষণের জন্যই তারা তাদের বাসায় অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা না করে পৃথক রয়েছেন। ওই তিন জনকে একটি পৃথক রুমে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রতিরক্ষামূলক পোষাক ব্যবহার করে তাদের খাবার-দাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তবে স্বাস্থ্য বিভাগ তাদেরকে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার জন্য কোনো পোষাক, গ্লাভস কিংবা মাস্ক সরবরাহ করতে পারেনি। তাদের কাছে এখনো এসব মালামাল সরবরাহ করা হয়নি। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি পৃথক আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে। আর জেনারেল হাসপাতালে পাঁচটি শয্যা তৈরি রাখা হয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎস্বার্থে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়েও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ও সদরের বক্ষব্যাধী হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করা হতে পারে। এর বাইরে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কয়েকটি বেড পৃথক করে রাখার হবে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফরিদপুরে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। তাকে ঢাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নেয়া হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জেনে যোগাযোগ করা হলে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের একজন নার্স খবরটি নিশ্চিত করেন।

তবে জেলা সিভিল সার্জন জানান, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার কাছে নেই। পরে ওই হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে তারাও বিষয়টি সঠিক নয় বলে তারা জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.